দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক রণজিৎ কুমার রায় ও তার স্ত্রী শেলী হাওলাদারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়। দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাখিলকৃত সম্পদের বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

দুদকের দায়ের করা প্রথম মামলায় রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৬৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় রণজিৎ কুমার ও তার স্ত্রী শেলীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আসামি রণজিৎ কুমার রায় ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৯৬ লাখ ২ হাজার ৩১৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেন। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই করে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮ টাকার সম্পদ গোপনের প্রমাণ পায় দুদক। তাছাড়া আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ২৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে মনে করছেন দুদক।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় আসামি শেলী হাওলাদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা তিনি তার স্বামী আসামি রণজিৎ কুমারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অর্জন করেছেন। স্বামী রণজিৎ যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনে স্ত্রীকে সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে উভয়ের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

আরএম/এসকেডি