বিশ্বখ্যাত পোশাকের ক্রেতা ওয়ালমার্ট এবার বাংলাদেশ থেকেও ৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ (অর্ডার) কমিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবার বাংলাদেশ থেকেও ক্রয়াদেশ (অর্ডার) কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়লমার্টের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের ‘স্কুলে ফেরা’ মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পণ্য বিক্রি করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের অনেক পোশাক কারখানায় এখন কাজ নেই। দুপুরের পরই অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

জানতে চাইলে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ওয়ালমার্ট তাদের ক্রয়াদেশের ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। কোনো কোনো অর্ডারের শিপমেন্টের সময়ও পিছিয়ে দিচ্ছে। অনেক পণ্যে আমরা পাঁচ-ছয় মাস পিছিয়ে পড়ব। আমরা তো সব ধরনের প্রাথমিক উপকরণ কিনে বসে আছি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিজিএমইএ কার্যালয় ঘেরাও

তিনি বলেন, এখনও ক্রয়াদেশ বাড়ছে না। ক্রয়াদেশ এখনও কমছে। অনেক বড় বড় ফ্যাক্টরি বসে আছে। কাজ না থাকায় দুপুরে লাঞ্চের পর তারা ছুটি দিয়ে দিচ্ছে।

বিজিএমইএর সভাপতি জানান, যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে অর্ডারে। গত মাসের চেয়ে চলতি মাসে রপ্তানি ৫০ কোটি ডলার কম হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩-৪ মাস পর অর্ডারের অবস্থা কেমন থাকবে, তা নিয়েই ভাবতে শুরু করেছেন রপ্তানিকারকরা।

জানতে চাইলে দেশের নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ওয়ালমার্ট তো ঘোষণা দিয়ে তাদের অর্ডার স্থগিত করেছে, অনেক ক্রেতাই এখন অর্ডার স্থগিত করছে। আমাদের সাড়ে ৭ লাখ ডলারের পণ্য কম্বোডিয়ায় বসে আছে। শিপমেন্টের শিডিউল স্থগিত করছে, নতুন অর্ডার আসছে না। অর্ডার এখনও আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এলপিপি নামের একটি ক্রেতা দেশের একটি কোম্পানির ৬৬ লাখ ডলারের অর্ডার স্থগিত করেছে। সবমিলিয়ে অর্ডার প্রসেসিং কমছে, আগের শিডিউল পেছাচ্ছে, পুরোনো অর্ডারের পণ্য নিতে বিলম্ব করছে।

এমআই/এসএসএইচ