বিদেশ থেকে আমদানিতে আকাশ, স্থল কিংবা সমুদ্র পথে খালাস প্রক্রিয়ায় গড়ে ৭ থেকে ১১ দিন সময়ক্ষেপণ হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও  কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মকাণ্ডে সময়ের অপচয় করে। টাইম রিলিজ স্টাডি-২০২২ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য খালাস করতে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় সমুদ্র বন্দরে। যা ১১ দিন ছয় ঘণ্টা ২৩ মিনিট। এর পরের অবস্থান স্থল বন্দরের। স্থল বন্দরে পণ্যের ক্ষেত্রে সময় লাগে ১০ দিন ৮ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং বিমান বন্দরে লাগে ৭ দিন ১১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। 

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে 'টাইম রিলিজ স্টাডি ২০২২' (টিআরএস) বিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সুজানে মুয়েলার প্রমুখ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) টিআরএসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। গবেষণায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরের ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২১ সালের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। 

গবেষণাপত্রে বলা হয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিসিএইচ, বিসিএইচ এবং ডিসিএইচ-এর মাধ্যমে একটি পণ্যের সামগ্রিক কাস্টমস রিলিজ প্রক্রিয়াতে মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ সময় ব্যয় করে।

এতে বলা হয়, তিনটি কাস্টমস পোর্টে ঢাকা কাস্টমস হাউসের ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া, বেনাপোল এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন হয়।

এক্ষেত্রে, ফার্মাসিউটিক্যালস ও গার্মেন্টস কাঁচামালের জন্য বেনাপোল কাস্টমস সময় নেয় ৯ দিন ১০ দিন এবং ঢাকা কাস্টমস থেকে ৫ থেকে ৮ দিন, চট্টগ্রাম কাস্টমস ৯ থেকে ১৪ দিনের বেশি সময়। যন্ত্রপাতিতে তিনটি কাস্টমস ২২ দিনেরও বেশি সময় নেয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা চারটি বন্দরের মাল খালাসের সময় ক্ষেপণ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তা নিয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।

আরএম/এসকেডি