প্রতীকী ছবি।

বাজারে বাড়তি গরু ও মুরগির মাংসের দাম। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অলস সময় পার করছেন মাংস বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় মানুষ মাংসের বাজার খুব বেশি ভিড় করছে না। বিক্রিও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে।

আজ বাজারে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৮০০ টাকা। এদিকে, ব্রয়লার মুরগি কোথাও ১৭০ টাকা, আবার কোথাও ১৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি ৩০০ টাকা, লেয়ার ২৮০-৩০০ টাকা এবং কক ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে মহাখালী বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করেন সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, আগে এমনো সময় গেছে- দিনে দুইটি গরু বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। সারাদিনে অর্ধেক গরুর মাংসও বিক্রি হয় না। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ এত দাম দিয়ে গরুর মাংস কেনে না।

তিনি বলেন, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাংসের বাজারে ক্রেতা নেই। যতগুলো গরু-খাসির মাংসের দোকান আছে, সবগুলোই ফাঁকা। ব্যবসায় মন্দার কারণে ঢাকা শহরে অনেক মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন অন্য ব্যবসা করছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে মুরগি বিক্রি করেন জামাল উদ্দিন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একটা সময় ব্রয়লার মুরগি খুব বিক্রি হতো। কিন্তু মুরগির খাবারের দাম ও পরিবহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মুরগির বাজার বাড়তি যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো ক্রেতা নেই। মানুষ খুব দরকার ছাড়া মুরগি কিনছে না। পাইকারি বাজার থেকে আগের চেয়ে বেশি দামে আমাদের মুরগি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজার। দাম বাড়তির কারণে ক্রেতা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

গুলশানের ঝিলপাড় বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন মোজাম্মেল হক নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, সর্বশেষ গত কোরবানি ঈদের আগে গরু ও খাসির মাংস কিনেছিলাম। এরপর আর কেনা হয়নি। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এত দাম দিয়ে মাংস কেনা সম্ভব না। খুব প্রয়োজন ছাড়া এই বাড়তি দামে মানুষ গরু-খাসির মাংস কিনতে পারে না।

তিনি বলেন, আগে নিম্ন আয়ের মানুষ ব্রয়লার খেয়ে মাংসের স্বাদ পূরণ করতো। বর্তমানে এই ব্রয়লারও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এখন সবাই চাইলেই মুরগি কিনতে পারছে না। যারা কিনছেন, তারা বাধ্য হয়ে। সব মিলিয়ে বর্তমান বাজার অবস্থায় সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের সাধারণ মানুষরা।

এএসএস/এমএইচএস