নতুন করে আরও ৫৭ ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। চালের বাজার স্থিতিশীল করতে সোমবার (১ মার্চ) আমদানির অনুমতি দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, আগামী ১১ মার্চের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এলসি খোলা এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারককে এলসি খোলার দশ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া বরাদ্দের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আইপি (ইম্পোর্ট পারমিট) জারি বা ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আর বাকিদের বরাদ্দের চাল আমদানি করে বাজারজাতের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত।

এসএইচআর/এসএম