ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে মামলা করেছে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, দুদক যে মামলা করেছে সেখানে মৃত ব্যক্তির নাম দিয়েছে। আবার এমনও কাজ করেছে। কেলেঙ্কারির সময় বোর্ডে ছিল ওই ব্যক্তির নাম এফআইআরে দেয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুরানা পল্টনে আইএলএফএসএল এর ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জানা গেছে, পিপলস লিজিংয়ের পাঁচ আমানতকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ জানুয়ারি পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই ২৪ জনের মধ্যে এন আই খান ছিলেন। পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম খানকে বিদেশ যাওয়ার ওপর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, হাইকোর্টের আদেশে আমাকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেসর চেয়ারম্যান করা হয়। এ বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। আমার বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদক যে মামলা করে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুটি টেলিভিশনের টকশোতে দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানের সঙ্গে আমার মতোবিরোধ হয়। সে কারণে ব্যক্তি আক্রোশের কারণে এ মামলা করা হতে পারে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন দুদক যে এফআইআর করেছে সেখানে মৃত ব্যক্তির নাম আছে। আবার এমন ব্যক্তি আছে বোর্ডে আছেন কিন্তু এফআইআরে তার নাম নেই।

এফআইআরে যে মৃত ব্যক্তির নাম আছে তিনি কে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আপনারা খুঁজে বের করেন। আমি বলব না। তবে আমি বলছি এফআইআরে মৃত ব্যক্তির নাম আছে।

তিনি আরও বলেন, ২০-৩০টা মামলা করে এর মানে কনফিডেন্স নেই ধরতে পারব কি পারব না। একটা করতে হবে একদম টাইট দিয়ে, দুইটা করতে হবে টাইট দিয়ে, তিনটা করতে হবে টাইট দিয়ে। ৩০টা মামলা করা লুজ।

আপনি বলছেন হাইকোর্ট আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আপনি কিছুই জানতেন না, আবার হাইকোর্ট থেকেই আপনার বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলো। তাহলে এটা কী স্ববিরোধী হয়ে গেল না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, দুটি দুই কোর্ট। আবার দুদক যে দরখাস্ত করেছে সেখানে নাম আর বাবার নাম লিখেছে। এখানকার (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস) চেয়ারম্যান উল্লেখ করেনি।

এসআই/এসকেডি