রপ্তানি আয়ে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরে রপ্তানির বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৯০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ দশমিক ৪৯ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ২ শতাংশ কম আয় হয়েছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় রপ্তানি আয় ২৬ কোটি ডলারেরও বেশি কমে গেছে। অর্থাৎ ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

রোববার (২ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের পেছনেই অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ও কমে আসবে।

সার্বিক বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার মহামারি থেকে রপ্তানি ঘুরে দাঁড়ানোর ১৩ মাসের মাথায় সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমলো। বিজিএমইএ আগেই এ বিষয়ে শঙ্কা জানিয়েছিল। 

তিনি বলেন, কনটেইনারের অপ্রতুলতা ও সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আবির্ভাব- এসব কারণে খুচরা বিক্রয়ে ধস নেমেছে।  পাশাপাশি ক্রেতাদের পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সংকটে এ শিল্প বিপর্যস্ত। 

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ (৩.৯০ বিলিয়ন) ৭ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলার। 
 
একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসের রপ্তানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। 

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। 

এমআই/আরএইচ