রাজধানী ঢাকায় তিন দিনব্যাপী গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুসের (জিএবিভি) ১৩তম ইন-পার্সন সামিট শুরু হবে আগামীকাল (৮ নভেম্বর)। হোটেল রেডিসনে সকাল ৯টায় সামিটের উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সামিট শেষ হবে ১০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, সানরাইজ ব্যাংকস সিইও এবং জিএবিভির চেয়ার ডেভিল রাইলিং। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিবেশগত অবনতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এ ক্রান্তিকালে ৪৩টি দেশের ৭০টি ব্যাংক, ক্রেডিট ইউনিয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক জিএবিভি ঢাকায় তিন দিনের সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো আর্থিক শিল্পের সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে আইডিয়া শেয়ার এবং প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে বের করা।

বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সাসটেইনেবল ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা ঢাকায় এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে তারা মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। এছাড়াও একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য কমিউনিটিতে এবং দেশে দেশে সাসটেইনেবল ব্যাংকিংয়ের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করবেন।

ফ্রম পারস্পেকটিভস টু অ্যাকশন: ট্রান্সফরমেশনাল প্র্যাকটিস ইন অ্যাকশন' থিম নিয়ে ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষ করে সদস্য-ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশে এটি জিএবিভির দ্বিতীয় বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।

সম্মেলনে প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকটি আলোচনা সেশনে অংশ নেবেন, যেখানে আলোচনা করা হবে ব্যাংকিং শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সফরমেশন, মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের তাৎপর্য, ডিকার্বনাইজেশন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ক্ষুদ্রঋণ, সাসটেইনেবল ইন্টিগ্রেশন, জনসম্পদ এবং সাংগঠনিক রূপান্তর বিষয়ে। 

১০ নভেম্বর, ২০২২-এ একটি সর্বজনীন ইভেন্টে তারা ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ ডে পালন করবে, যেখানে সকল সদস্য সশরীরে ও ভার্চুয়ালি যোগদান করবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ব্র্যাক ব্যাংক অত্যন্ত গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি, এ বার্ষিক সভার মাধ্যমে আমরা আরও অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পারব। পাশাপাশি, বাংলাদেশে এবং এর বাইরেও সাসটেইনেবল ব্যাংকিং আন্দোলনের বীজ বপন করতে পারব।

এমআই/এসকেডি