প্রতীকী ছবি

লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিস অব বাংলাদেশ বা সবুজ কারখানার স্বীকৃতি সনদ পেল জিনাত নিটওয়ারস লিমিটেড এবং সুইসটেক্স ভিলেজ। এই দুই প্রতিষ্ঠান তিনটি সনদ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য। এর ফলে বাংলাদেশে লিড গ্রিন সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮৩টিতে।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, নতুন আরও দুটি কারখানা গ্রিন সার্টিফাইড হয়েছে। এ নিয়ে গ্রিন সার্টিফাইড কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩টিতে। প্রতিষ্ঠান দুটিরে মধ্যে জিনাত নিটওয়ারস প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। আর সুইসটেক্স ভিলেজ পেয়েছে গোল্ড সনদ।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের সর্বোচ্চ ১৫টি প্লাটিনাম সার্টিফাইড ফ্যাক্টরি হয়েছে। পাশাপাশি গোল্ড সিলভার এবং সার্টিফাইড মিলে এ বছর ৩০টি প্রতিষ্ঠান সবুজ কারখানার সনদ পেয়েছে। আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন সার্টিফাইডের তালিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

কোম্পানি দুটির মধ্যে সর্বোচ্চ সনদ প্লাটিনাম লিড সার্টিফাইড গ্রিন গার্মেন্টস অব বাংলাদেশ সনদ পাওয়া জিনাত নিটওয়ারস লিমিটেডের যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালে। আরএমজি বিল্ডিং ক্যাটাগরিতে মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুরের অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি ২০ ডিসেম্বর সনদ পেয়েছে। একই দিন কারখানাটিকে প্রিন্টিং বিল্ডিং ক্যাটাগরিতেও প্লাটিনাম সনদ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকার সিংগাইরের সুইসটেক্স ভিলেজকে গত ২১ ডিসেম্বর গোল্ড সার্টিফাইড সনদ দেওয়া হয়েছে। এটি যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালে।

এর আগের চলতি মাসেই ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেডকে গোল্ড সনদ দেওয়া হয়। তার আগের মাস নভেম্বরে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ও বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে।

সব মিলিয়ে পোশাক কারখানায় সবুজ সংকেতের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৬০টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৯টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এছাড়া চারটি কারখানা কোনো রেটিং পায়নি, তবে সনদ পেয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এক বছরে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের প্লাটিনাম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন বাংলাদেশি পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।

তিনি দাবি করেন, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব টেকসই কারখানা তৈরির জন্য যা যা করণীয় অনেক দিন ধরে আমরা সেটি করে আসছি। এর ফলে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে এবং তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে।

এমআই/এমএ