বাণিজ্য মেলায় আচারের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় (ছবি : ঢাকা পোস্ট)

বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে এসে হরেক রকম আচার, মোরব্বা ও স্লাইসের স্বাদ নিতে স্টলগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। এবারের মেলায় কাশ্মীরি আচারে সবচেয়ে বেশি মজেছেন দর্শনার্থীরা। ছুটির দিনে প্রায় লাখ টাকার আচার বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরি আচার দোকানের কর্মচারীরা।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সরেজমিনে বাণিজ্য মেলা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশ করেই প্রতিটি স্টলে ঘুরে দেখছেন তারা। পছন্দ হলেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। এবারের মেলা দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ কেড়েছে কাশ্মীরি আচার। 

মেলায় একাধিক আচারের স্টল রয়েছে। স্টলগুলোতে প্রতি কেজি আম চূড় আচার ৬০০ টাকা, চালতার মোরব্বা ৬০০ টাকা, চালতার স্লাইস ৪০০ টাকা, খেজুর-তেঁতুল মিক্স ৬০০ টাকা, কদবেলের আচার ৮০০ টাকা, আমড়ার স্লাইস ৬০০ টাকা, করমচার আচার ১০০০ টাকা, বড়ইয়ের আচার ৪০০ টাকা, আপেল কাশ্মীরি আচার ১০০০ টাকা, রসুনের আচার ১০০০ টাকা, কাশ্মীরি আমের আচার ১০০০ টাকা, আলু বোখারা চাটনি ৮০০ টাকা, আমের টক-মিষ্টি আচার ৮০০ টাকা, আনারসের মোরব্বা ৬০০ টাকা, বোম্বাই মরিচের আচার ৮০০ টাকা, জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার ৪০০ টাকা, মাশরুমের আচার ৮০০ টাকা ও আমলকির মোরব্বা ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

কাশ্মীরী আচার দোকানের কর্মচারী পাইলট শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার আচার বিক্রি করে থাকি। ছুটির দিনে হলে লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়। আমাদের স্টলে প্রায় ২০ ধরনের আচার রয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো আচার কিনতে পারছেন। 

এবারের মেলায় আপেল কাশ্মীরি আচারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি জানিয়ে আরেক স্টলের কর্মচারী সবুজ বলেন, প্রতি কেজি আপেল কাশ্মীরি আচারের দাম ১ হাজার টাকা। কেউ চাইলে ১০০ গ্রামও নিতে পারেন। বড়ই, চালতা কিংবা আমের আচারের তুলনায় এবার আপেল কাশ্মীরি ও আমলকির মোরব্বা একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে।
  
এমএসআই/কেএ