গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে অফিসের যাবতীয় লেনদেনের কাজ হয়। পৌরসভার প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক আলমগীর হোসেন চেক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন ও ও নোটশিট প্রস্তুত সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ডপত্র হেফাজতের দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সালের ১১ মে পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের নোটিশ বহি ছাপানোর বিল বাবদ 8 হাজার টাকার বিল পরিশোধের জন্য সোনালী ব্যাংকের পলাশবাড়ী শাখার একটি চেক প্রস্তুত করেন। এরপর সচিব এবং মেয়রের স্বাক্ষর নেন। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার সময় মেয়র ও সচিবের স্বাক্ষরের পর আলমগীর হোসেন ৪ হাজার সংখ্যার পরে ‘২০’ সংখ্যা বসিয়ে দিলেন। এতে ৪ হাজার হয়ে যায় দুই লাখ ৪ হাজার টাকা। ৪ হাজার টাকা অফিসে জমা দিয়ে অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

এভাবে ১৬টি চেকে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন পৌরসভার প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক আলমগীর হোসেন। চেকের মাধ্যমে অভিনব এমন লোপাটের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি হয়েছেন তিনি।

রোববার (১৯ মার্চ) দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক  (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, আসামি আলমগীর ২০১১ সালের ১১ মে থেকে ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর সময়ে  পলাশবাড়ী পৌরসভার নামে সোনালী ব্যাংকের পলাশবাড়ী শাখা থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ জন্য দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরএম/এসকেডি