নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে  ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও জনসাধারণকে বিনামূল্যে এ সেবা দিতে হবে। এসব সেবার ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।    

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিএমএসএমই, মাইক্রো-মার্চেন্ট ও স্বল্প আয়ের জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এনে ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীদের লেনদেন প্রযুক্তিনির্ভর করার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের সকল লেনদেনের ৭৫ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস করার নিমিত্ত 'ক্যাশলেস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৭' উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে  ‘বাংলা কিউআর’-এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিনামূল্যে পরিশোধ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ সংক্রান্ত ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে
 পারবে।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘বাংলা কিউআর’ সংক্রান্ত যেসব ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

>>> ‘বাংলা কিউআর’-এর মাধ্যমে গৃহীত সকল পেমেন্ট-এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে এমডিআর (মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট) ও আইআরএফ (ইন্টারচেঞ্জ রেইম্বুর্সমেন্ট ফি) সংক্রান্ত চার্জ।

>>>‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ' উদ্যোগের আওতায় ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, এর মাধ্যমে পরিচালিত কুরবানির হাটের যাবতীয় পেমেন্ট ও অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট ব্যয় এবং ‘বাংলা কিউআর’-এর প্রচার ও প্রসারে নেওয়া প্রচারণা সংক্রান্ত ব্যয়।

>>> 'ক্যাশলেস বাংলাদেশ' উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া, হোটেল বিল ইত্যাদি বা যাতায়াত ভাতা হিসেবে গণ্য ব্যয় সিএসআর ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ'-এর উদ্যোগে যোগদান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ সুযোগ নিতে পারবে।

পাশাপাশি আলোচ্য ব্যয়গুলোর তথ্য ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে মতিঝিল ও গুলশানের পর গোপালগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর ও নাটোর জেলাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু হয়েছে।

বাংলা কিউআর (কুইক রেসপন্স) হলো, দেশের সব ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) অ্যাপভিত্তিক লেনদেন নিষ্পত্তির একটি কমন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যেকোনো ব্যাংক বা এমএফএসের গ্রাহক যেকোনো অন্য কিউআর থেকে পরিশোধ করতে পারেন। লেনদেনকে স্বচ্ছ, ঝুঁকিমুক্ত, কম খরচে ও দ্রুত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এমন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ ব্যবস্থায় লেনদেন সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

‘বাংলা কিউআর’ কোডে এখন দৈনিক যত খুশি তত পরিমাণ অংকের টাকা লেনদেন করতে পাবেন গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ব্যাংক ও পাঁচটি এমএফএস, একটি পিএসপি ও তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম যুক্ত আছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংক ও এমএফএস এ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে।

এসআই/এসকেডি