তিন দিনব্যাপী ‘সেইফকন’র প্রদর্শনী শুরু
অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সেইফ এইচভিএসিআর ও পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য ও সল্যুশন সার্ভিসেসের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ‘সেইফকন ২০২৩’ শীর্ষক এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান। তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নিরাপদ নির্মাণ উপকরণ, পানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, বিদ্যুতের নিরাপদ এবং স্মার্ট সমাধান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং নিরাপদ এইচভিএসিআর শিল্প সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবাগুলো এই প্রদর্শনী তুলে ধরবে। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে।
আমি আশা করি, তিন দিনের এ প্রদর্শনী ও পারস্পারিক বৈঠকগুলো বিশেষজ্ঞ, পেশাদার এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ধারণা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল বিশ্বে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলোর উদ্ভাবনী সমাধানগুলো অন্বেষণ করতে একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি আল মামুন মৃধা, আশরে-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসমতুজ্জামান, ইশরে-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ইশরের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস মনোজ চক্রবর্তী এবং সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়জুল আলম।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, এটি বাংলাদেশে অবকাঠামো নির্মাণ শিল্পের ওপর একটি বড় প্রদর্শনী। এখানে অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পানি ব্যবস্থাপনা ও এইচভিএসিআর সংশ্লিষ্ট যত পণ্য ও সল্যুশন সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এখানে অংশগ্রহণ করেছে। ১৬টি দেশের ১২০টি প্রতিষ্ঠান এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে ভিজিটররা প্রদর্শনীতে আসছেন। তারা এখানে অনেকগুলো পণ্য ও সল্যুশন সার্ভিস দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
মূলত টেকসই পণ্য এবং সেসব পণ্যের স্থায়িত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এখানে। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব পণ্য টেকসই, এনার্জি ইফিশিয়েন্ট এবং পরিবেশবান্ধব, সেসব পণ্যই কেবল এই প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের জন্য এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখবে।
এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে রয়েছে পাওয়ার সেল, ঢাকা ওয়াসা, ইডকল, বিসিসিসিআই, আশরে-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, ইশরে-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, বিআরএএমএ, বিইসিএমএ, বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং একাডেমি ও গ্রিন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া।
এমআই/জেডএস