বিশেষ অভিযানে নামছে ভোক্তার ৮ টিম
লকডাউন ও রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কেউ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করলে বা করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এজন্য সংস্থাটির আটটি বিশেষ টিম মাঠে নামছে। মিল কারখানা, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলবে বিশেষ অভিযান। বাজার অস্থিতিশীলকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন চলাকালে দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে যেন অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি না হয় এজন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া রমজানে যেন পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে। দেশের বড় পাইকারি বাজার, জেলাগুলোর মিল ও আড়ৎগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে। যারাই ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউন ও রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কেউ যেন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করতে না পারে এজন্য আজ থেকে বিশেষ ৮টিম বাজারে অভিযান শুরু করবে। এর মধ্যে অধিদফতরে ৬টি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টিসহ মোট আটটি টিম সপ্তাহে সাত দিন বাজার মনিটরিং করবে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
ভোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যেও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে। তাই তাড়াহুড়ো করে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পণ্য কিনবেন না। এতে বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। এছাড়া বাজারে আসার আগে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন। মহামারির প্রর্দুভাব ঠেকাতে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে সারাদেশে অভিযান চলবে। দুর্যোগকে পুঁজি করে যেসব ব্যবসায়ী অনৈতিক কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর্থিক জরিমানাসহ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে।
অধিদফতর সূত্র জানায়, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ওজন বা পরিমাপে কারচুপি করে, পণ্যের মোড়কে খুচরা বিক্রয়মূল্য না লেখে বা নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্য দাবি করে তাহলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে অপরাধ। অপরদিকে কোনো পণ্যে জেনে শুনে ক্ষতিকারক দ্রব্য মিশ্রিত করলে বা নকল পণ্য বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকরণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৩ বছর কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
এসআই/জেডএস