ঈদুল ফিতরের নামাজের যাওয়ার আগে মিষ্টি মুখ করা বাঙালির ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মিষ্টি মুখ হয়ে থাকে মূলত বিভিন্ন ধরনের সেমাই দিয়ে। শুধু তাই নয়, ঈদের সময় বাড়িতে আগত অতিথিদের সেমাই দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যার ফলে সারা বছর যে সেমাই বিক্রি হয় তার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে।

মান-গুণ বিবেচনায় বাজারে বিভিন্ন ধরনের সেমাই পাওয়া যায়। দামের দিক থেকেও রয়েছে পার্থক্য। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেমাই।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাজারে বেশকিছু প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সেমাই পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রিমিয়াম সুইটস ও মিনা সুইটসের সেমাইয়ের দাম অন্য সেমাইয়ের তুলনায় বেশি। এসব প্রিমিয়ার ঘি-এ ভাজা লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, ১ কেজি ১২০০ টাকা আর ২ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়।

অন্যদিকে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বনফুল ২০০ গ্রাম ৫০ টাকা, কুলসন ২০০ গ্রাম ৪৫ টাকা, অলিম্পিয়া ৫০০ গ্রাম ৩৭০ টাকা এবং অলিম্পিয়া কাশ্মিরি লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের খোলা সেমাই কেজি ১৫০ থেকে শুরু করে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্য বছরের তুলনায় সেমাইয়ের দাম না বাড়লেও সেমাই তৈরির বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তার মধ্যে চিনাবাদাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা, কিশমিশ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও আলুবোখারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মোসলে উদ্দিন বলেন, গত এক মাসে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে কিশমিশের দাম। বাজারে বর্তমানে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২০ টাকায়। এ ছাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে পেস্তাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। ভালো মানের কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। আলুবোখারা ৪৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সেমাইয়ের দাম তেমন বাড়েনি। মানুষ আগের মতো সেমাই কিনেও না।

এএইচআর/এসএসএইচ