করোনাকালে আয় ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে খানা জরিপ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও অক্সফাম বাংলাদেশ।

আগামীকাল বুধবার (৫ মে) সকালে ওই খানা জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ উপলক্ষে সংস্থাটি দুটি যৌথ সংলাপের আয়োজন করেছে। ‘কোভিডকালে আয় ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি : কীভাবে মানুষগুলো টিকে আছে’ এমন শিরোনামের সংলাপে (অনলাইন) প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপটি পরিচালনা করবেন। যেখানে সভাপতিত্ব করবেন সিপিডির অপর সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডি সূত্রে জানা যায়, সংলাপে দেশের কর্মসংস্থানে চলমান কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। করোনা সংক্রমণের ফলে আয় ও কর্মসংস্থানে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে এ উপলক্ষে সিপিডি সম্প্রতি জরিপ চালায়। যেখানে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের করণীয় কী হতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।

গত ১৭ এপ্রিল সিপিডি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছিল, কোভিডকালে তিন শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। আর শহর অঞ্চলে ইনফরমাল ইকোনোমি থেকে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এছাড়া উচ্চ পর্যায়ের দিকে এক কোটি ১১ লাখ থেকে দুই কোটি পাঁচ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন এসএমই ও ইনফরমাল সেক্টর থেকে।

অন্যদিকে নারী উদ্যোক্তরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। দারিদ্র্য ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে শ্রমনির্ভর দারিদ্র্য বেশি।

সিপিডির সে গবেষণায় দেখা গেছে, দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে দরিদ্রের তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে দেশীয় শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসা, খাদ্য ও ব্যক্তিগত সেবা। মধ্যম পর্যায়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, আর্থিক খাত, অভ্যন্তরীণ পরিষেবা, রিয়েল স্টেট ও শিক্ষা খাত এবং কম ঝুঁকিতে থাকা খাতগুলো হলো- কৃষি,স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ খাত। এর ফলে শহর অঞ্চলের ৬৯ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে।

আরএম/এফআর