সোনালী ব্যাংক ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং সম্পন্ন কর‌তে পাঁচ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ ঋণের অর্থ দেওয়া হ‌বে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) ব্যাংকটির মতি‌ঝিলের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোনালী ব্যাংক ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পাবক) স‌ঙ্গে এ সংক্রান্ত এক‌টি ঋণ চুক্তি সই হ‌য়ে‌ছে। চু‌ক্তি অনুযায়ী, ঋণের অর্থ ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং সম্পন্ন হলে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার মেট্রিক টনের জাহাজ বিভিন্ন দেশ থেকে এই বন্দরে ভিড়তে সক্ষম হবে এবং বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে।

ঋণ চুক্তিতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান এবং পায়রা বন্দরের পক্ষে চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মো. আতাউর রহমান প্রধান পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে এই ঋণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পাবক চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল বলেন, পায়রা বন্দর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য এম এম মামুনুর রশীদ, কমোডর রাজীব ত্রিপুরা, কমান্ডার রাফিউল হাসান, পাবক কনসালটেন্ট শেখ মাহামুদুল হাসান, প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামানসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গত ১৫ মার্চ অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং রিজার্ভ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

একের পর এক রেকর্ড ভেঙে এখন মহামারি করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ) গত ৩ মে ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা চার হাজার ৫১০ কোটি ডলার ছাড়ায়। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৮৩ হাজার কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ১১ মাসের বে‌শি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এসআই/এফআর