ঈদুল ফিতরের ছুটির পর অর্ধেক পোশাক শ্রমিক কারখানায় ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি শ্রমিক আগামী শনিবার থেকে কাজে যোগ দেবেন বলে আশা পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর।

এ বিষয়ে নিটওয়ার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর পরিচালক (শ্রম) ফজলে শামীম এহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের পর ৫০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। যোগ দেওয়া শ্রমিকরা কাছাকাছি এলাকার। দূরের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও কারখানাগুলো বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি দেওয়ার কারণে শ্রমিকদের আসতে দেরি হচ্ছে। বিকেএমইএর মতো বিজিএমইএর আওতাধীন কারখানায়ও অর্ধেক শ্রমিক ঈদের ছুটির পর কাজে যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনও অর্ধেক শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। কীভাবে যোগ দেবে? সব গণপরিবহন বন্ধ। তারপরও ভেঙে ভেঙে, গাড়ি বদল করে, পেটের দায়ে চাকরি বাঁচাতে অনেক ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবাই কাজে যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন : ঢাকামুখী মানুষের পদে পদে ভোগান্তি

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অর্ধেকের বেশি, ৭০ শতাংশের মতো শ্রমিক ছুটি শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন। আগামী শনিবারের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক কারখানায় যোগ দেবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে দেশব্যাপী উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ ঈদে শতভাগ কারখানায় বেতন বোনাস হয়েছে বলে দাবি পোশাক কারখানার মালিকদের। তবে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের অনেকে বলছেন, ৪০ ভাগ কারখানা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়নি। শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কারখানায় ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাস হয়নি।

অন্যদিকে বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় ঈদুল ফিতরের ছুটি তিন দিন দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্তে রাজি হননি। তারা ছুটি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেন। আন্দোলনের মুখে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এমআই/এসকেডি