করযোগ্য আয় নেই এমন শ্রমিকদের তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎসে কর কর্তন না করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ বিবেচনা করে করযোগ্য আয় নেই এমন শ্রমিকদের অংশগ্রহণমূলক তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎসে আয়কর কর্তন না করার প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অনুসৃত করনীতি হচ্ছে- করভিত্তির সম্প্রসারণের পাশাপাশি করহার ক্রমাগত কমিয়ে আনা। সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশর পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। 

একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশনে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন হচ্ছে। করোনাকালের দ্বিতীয় এই বাজেট অধিবেশন হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে।

মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে বাজেটে আয়ের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে সরকার। সেজন্য বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি।

বাজেট প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হবে। এ বাজেটে সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রাখা হবে। আগামী বছর একই ধারা থাকবে।

এমআই/এইচকে