দেশের ৩৪ শতাংশ পোশাকর্মী করোনাভাইরাসের টিকা সম্পর্কে জানেন না। এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) যৌথ জরিপে। 

রোববার (৬ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ’ নামক প্রকল্পের অধীনে সানেম ও এমএফও ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশের মূল পাঁচটি শিল্প এলাকায় (চট্টগ্রাম, ঢাকা শহর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, এবং সাভার) কর্মরত পোশাক শ্রমিকদের কর্মসংস্থান, আয়, খাদ্য নিরাপত্তা, মজুরির আধুনিকীকরণ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতি মাসে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 

জরিপে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশের বেশি উত্তরদাতা নারী শ্রমিক, যা সামগ্রিকভাবে এ খাতের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন। কোভিড-১৯ এর কারণে জারি করা লকডাউন এবং টিকার ব্যাপারে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের সচেতনতা ও মতামতের ওপর জরিপে আলোকপাত করা হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। টিকার জন্য নির্বাচিত (যোগ্য বা উপযুক্ত) কি না- সেই প্রশ্ন করা হলে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে, তারা টিকার জন্য নির্বাচিত। অর্থাৎ তারা চাইলে টিকা

২৮ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন তারা টিকার জন্য নির্বাচিত নন এবং ৩৪ শতাংশ জানিয়েছেন এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। সব মিলিয়ে ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে, সুযোগ থাকলে তারা টিকা নিতে আগ্রহী এবং ৩১ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা টিকা নিতে চান না।

টিকা নিতে চান না এমন ৩১ শতাংশ উত্তরদাতার মধ্যে ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাদের শরীরে টিকার পার্শ্বপতিক্রিয়া হতে পারে, অসুস্থ হতে পারেন বা মারা যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় ভীত। ২৩ শতাংশ টিকা নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা বা উপকারিতা আছে বলে মনে করেন না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে কর্মরত লাখো শ্রমিকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে। 

তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদন, রফতানি ও সামগ্রিকভাবে পুরো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কারখানার মালিকপক্ষ, সরকার, নীতিনির্ধারক ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোকে সম্মিলিতভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আরএম/আরএইচ