প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। তাই করোনা মোকাবিলায় এই খাতকে দাঁড়াতে হলে বাজেটে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)

রোববার (০৬ জুন) বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত টেক্সটাইল ও ক্লথিং দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে বিবেচিত।

এ বিবেচনা থেকে আমরা অর্থমন্ত্রীকে সব ধরনের সুতার ওপর তিন টাকা মূল্য সংযোজন কর ধার্যসহ সুতা তৈরিতে ব্যবহৃত সব ফাইবারকে শুল্কমুক্তভাবে আমদানি সুবিধা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

একই সঙ্গে ফেব্রিক্সের ট্যারিফ ভ্যালু পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন, যদি এখনই সম্ভব না হয় তাহলে এ লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ রাখার অনুরোধ করছি।

এছাড়াও রফতানি বাণিজ্যে খরচ কমানোর লক্ষ্যে উৎসে আয়কর কর্তনের হার আগের মত শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নির্ধারণসহ টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশকে এক শতাংশ শুল্ক দেওয়ার মাধ্যমে আমদানি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।

মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, রফতানি বাণিজ্যের খরচ কমানো ও স্থানীয় বস্ত্র শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আমরা ‘উৎস আয়কর কর্তনের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কর্তৃক ওভেন ফেব্রিকের ট্যারিফ ভ্যালু পুনর্নির্ধারণ ও টেক্সটাইল খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব করেছিলাম।

আমরা মনে করি, বিটিএমএ'র প্রস্তাবগুলো ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত হলে সার্বিক টেক্সটাইলসহ তৈরি পোশাক খাত করোনাজনিত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠে অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখতে পারবে।

এমআই/জেডএস