করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যে এসব এলাকার তৈরি পোশাক কারখানা চালু থাকবে।

সোমবার বিকেলে (২১ জুন) ঢাকা পোস্টকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ। বার্তায় বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস জনিত রোগ-এর বিস্তার রোধকল্পে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নোটিশ জারি করেছে। আপনাদের সদয় আবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, তৈরি পোশাক খাত এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।’

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সোমবার বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এর আগেও লকডাউনের সময় পোশাক কারখানা খোলা ছিল, এবারও সেভাবেই খোলা থাকবে বলে আশা করছি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরে (সোমবার রাতে) বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে গাজীপুরসহ অন্যান্য জেলায় পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে পোশাক কারখানার মালিকদের সবাইকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’

সোমবার (২১ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই ৯ দিন এসব জেলা একরকম ‘ব্লকড’ থাকবে।

জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।

এসব জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচল করবে না। বাজার-শপিংমল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকবে (জরুরি সরকারি অফিস ছাড়া)। এই লকডাউনের সময় কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিবহন এবং জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত পরিবহন চলাচল করতে পারবে।

বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস

৭ জেলায় লকডাউন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বলেই তো দিয়েছি, সব বন্ধ, শুধু কয়েকটা সার্ভিস ছাড়া।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’

এমআই/জেডএস/জেএস