একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ব্যবহারে আরও দেড় বছর সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কোম্পানির আইপিও খাতে ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের অব্যবহৃত অংশ চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনও নিয়েছে কোম্পানিটি।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। ওই চিঠির একটি কপি সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ৩০ কোটি টাকার তহবিল চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ব্যবহার শেষ করার কথা ছিল। তবে কোম্পানিটি এ সময়ে ২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবহার করতে পারেনি। তাই এ তহবিল ব্যবহার করতে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে কোম্পানিটি।

একমি পেস্টিসাইডস জানিয়েছে, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারখানা নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক সংযোগের জন্য ২ কোটি ৪ লাখ, একটি নতুন কারখানা ও যন্ত্রাংশ একীভূত করতে ৮ কোটি ৩৪ লাখ এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় সম্পন্ন করেছে।

অব্যবহৃত অর্থের মধ্যে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যয় করবে। তবে এই অর্থ ব্যয় বাস্তবায়ন হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। কেননা, ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।

এদিকে, উত্তোলিত অর্থের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্নে নির্ধারিত ব্যয় থেকে প্রায় ৪১ লাখ টাকা অবশিষ্ট রয়ে গেছে। ওই অর্থ কোম্পানির চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের থেকে।

এমএমএইচ/এসএসএইচ