আসছে সম্প্রসারণমূলক নতুন মুদ্রানীতি
করোনা মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্প্রসারণমূলক নতুন মুদ্রানীতি দিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র আপলোড করা হবে।
এবারও করোনার কারণে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি ভার্চুয়াল কোনো আয়োজনও থাকছে না।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) নতুন এ মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান।
সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ছয় মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত দুই অর্থবছর থেকে তা এক বছরের জন্য করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে তার একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে রাখতে চায় সরকার। এই লক্ষ্য অর্জনকে সামনে রেখে মুদ্রানীতির কর্মসূচি সাজানো হয়েছে।
গত অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রক্ষেপণ করা হয় ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে মে পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নতুন বিনিয়োগ কম হওয়ায় আগামীতেও ঋণপ্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়বে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রাক্কলন করা হলেও সঞ্চয়পত্র থেকে প্রচুর ঋণ পাওয়ায় সরকার ব্যাংক থেকে নিয়েছে অনেক কম। গত অর্থবছর রেমিট্যান্সে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনার এই সময়ে অর্থনীতির জন্য এটি সহায়ক হয়েছে।
এসআই/এমএইচএস