কর্মব্যস্ত পোশাক কারখানা - সংগৃহীত ছবি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে কাজ অব্যাহত রাখায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের ২০ শতাংশ ঝুঁকিভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। একইসঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাৎসরিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বন্ধে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটি।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে এ দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে সংগঠনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ‘করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতেও করোনার প্রভাব পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি। ইতোপূর্বে নিশ্চয়ই অবগত হয়েছেন যে, করোনা মহামারির এই দুর্যোগে গার্মেন্টস শিল্প রক্ষায় সরকার মালিকপক্ষকে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করেছে। করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, গত ২৭ ডিসেম্বর গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ মৌখিকভাবে এবং বিকেএমইএ লিখিতভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আগামী ২ বছর গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৫ শতাংশ বেতন ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দিয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। গত বছরের মার্চ থেকে যখন করোনাভাইরাস ঠেকাতে সারাদেশের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় তখন দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৬৫ শতাংশ বেতনে কাজ করে চলেছেন, এমন কি শ্রমিকদের ঈদবোনাসও কম দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে মালিকরা যদি প্রণোদনা পান তাহলে শ্রমিকদেরও কমপক্ষে ২০ শতাংশ ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। অথচ মালিকরা এত সুযোগসুবিধা পাওয়ার পরও আগামী দুই বছরের জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ইনক্রিমেন্ট বন্ধের যে দাবি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’

‘মালিকরা যে শুধু মুনাফা বোঝেন, তাদের এ দাবিই তা প্রমাণ করে’ বলে দাবি করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

করোনাকালে অর্থনীতি রক্ষাকারী যোদ্ধা হিসেবে গার্মেন্টস শ্রমিকরদের জন্য ২০ শতাংশ ঝুঁকিভাতার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সচিবকে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

এএইচআর/এইচকে