শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চলমান প্রকল্পের কাজ যাতে কোনো রকম ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য প্রকল্প পরিচালকদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। কোনো ত্রুটি মেনে নেওয়া হবে না, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের জিরো টলারেন্সের আওতায় এনে সরকারি নির্দেশনা মেনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, তাহলে দুর্নীতি কমে আসবে।

রোববার (২৯ আগস্ট) ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই, ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচি‌বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি প্রকল্প কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয়ভাবে প্রকল্প কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮২.৭১ ভাগ। ২৯তম অবস্থানে শিল্প মন্ত্রণালয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে এবং লাভজনক স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য টাকার কোনো ঘাটতি হবে না।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, স্টিল করপোরেশন, ভেহিক্যাল ও গ্লাস ফ্যাক্টরির পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনেক পরিত্যক্ত জায়গায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন করার উদ্যোগ নিতে হবে। সুগার মিলের সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা এবং শ্রমিক সংখ্যা বা‌ড়ি‌য়ে চিনি উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এ ষড়যন্ত্র শিল্প কারখানায় যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের মান ও আর্থিক বিষয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।  

এসআই/এসকেডি