অনুসন্ধানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বরাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন ফিরোজ আলম।

রোববার (২৯ আগস্ট) জমাকৃত সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাই করার জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক বেগম রেভা হালদারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

যদিও মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আলমসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ নামে-বেনামে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা ঋণ বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের আরও একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। 

গত বছরের ২৯ অক্টোবর অভিযোগটি অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হলে সংস্থাটির উপপরিচালক আশরাফুন নাহারের নেতৃত্বে একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের প্রায় সব শীর্ষ গ্রাহকই নাম লিখিয়েছে খেলাপির খাতায়। এর মধ্যে এসএ অয়েল লিমিটেডের কাছে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের পাওনা রয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই খেলাপি হয়ে রয়েছে ঋণটি। 

প্রিমিয়ার লিজিং থেকে ঋণ নিয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইব্রাহিম রেহেনা ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ৫১ কোটি, কেয়ার স্পেশালাইড হাসপাতালের ৫০ কোটি, মাহিদ এক্সপো ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইলের ৫৯ কোটি, বিশ্বাস টেক্সটাইলের ৪৭ কোটি, অ্যাডভান্স রেডিমিক্স কংক্রিট ইন্ডাস্ট্রির ৪১ কোটি, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ৩০ কোটি, এসএমসি গ্রুপের ১৭ কোটি, ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ডের ২৭ কোটি, সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ৩৯ কোটি, রহিম আফরোজের ৩৫ কোটি, নাভানা গ্রুপের ২৪ কোটি, কেবি ফুড লিমিটেডের ২২ কোটি এবং মোস্তফা গ্রুপের ১৯ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির খাতায় রয়েছে।

আরএম/এইচকে