আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) অন্যতম সহযোগী অসীম কুমার মিস্ত্রির তিন দিনের রিমান্ড চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন অধিকাংশ প্রশ্নের জবাব পাননি দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। বরং দুর্নীতির দায় মামলার অপর আসামি অসীমের মামা পিকে হালদারের ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী সুকুমার মৃধার ওপর চাপিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি।

রোববার (২৯ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রমনা থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল আবারও অসীম মিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

এর আগে দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে আনা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অসীম কুমার মিস্ত্রিকে সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেফতারের পর দিন ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়।  এ দিন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সাড়ে ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুদক।

মামলার আসামিরা হলেন : পিকে হালদারের ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার সিএডি (অপারেশন) তাপসী রানী শিকদার ও মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সুকুমার মৃধার ভাগিনা দুই ভাই অসীম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অবৈধ পন্থায়  নিজ ও অন্যদের নামে বেনামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। যা তারা নিজ দখলে রেখেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখায় দুদক।

আরএম/এসকেডি