স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানির মাধ্যমে শুল্ক আদায় বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে হিলি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ স্থলবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ‘হিলি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ স্থলবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এ প্রকল্পটি গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারি, পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ার বাংলাবান্ধ এবং দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি বন্দরের কাজ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। চলতি বছরের জুলাই থেক জুন ২০২৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- হিলি, বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোর ভৌত অবকাঠামো ও ভৌত সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি-রফতানি শুল্ক আদায় বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা, আমদানি-রফতানি শুল্ক ও ভ্যাট আদায় কার্যক্রমের যথাযথ পরিবীক্ষণ ও তদারকি বাড়ানো, এলসি স্টেশনগুলোতে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উন্নত আবাসিক সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা, সীমান্ত এলাকায় শুল্ক ও আবগারি কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে চোরাচালান এবং অবৈধ বাণিজ্যের প্রসার রোধ করা, আমদানি-রফতানি শুল্ক আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কাজের দক্ষতা/স্পৃহা বাড়ানোর লক্ষ্যে সুষ্ঠু, স্বাস্থ্যকর ও সুপরিসর দাফতরিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সরকারি রাজস্ব আহরণে সেফগার্ড নিশ্চিত করা।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ১২ একর ভূমি উন্নয়ন, ৭৮ হাজার বর্গফুট দাফতরিক ভবন নির্মাণ, ৩৪ হাজার ২৯০ বর্গফুট আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৩ হাজার ৩৬৯ বর্গফুট সিপাই ব্যারাক ভবন নির্মাণ এবং ২৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট ডরমিটরি ভবন নির্মাণ।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরাঞ্চলের হিলি, বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো সুবিধা বাড়বে। ফলে এসব স্টেশনে শুল্ক ও আবগারি কর্মকাণ্ড বাড়ানোর পাশাপাশি চোরাচালান এবং অবৈধ বাণিজ্যের প্রসার রোধ করা সম্ভব হবে। অবৈধ বাণিজ্য প্রসার ও দেশের রাজস্ব আহরণ বাড়বে বিধায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসআর/এসএসএইচ