সুদবিহীন বিনিয়োগের কথা বলে গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এহসান গ্রুপের আট প্রতিষ্ঠান ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম, জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনালসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ৮ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব।

সম্প্রতি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করে।

জানা গেছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধিত-২০১৫) সালের ২৩ (১) (গ) ধারার ক্ষমতা বলে ব্যাংক হিসাবগুলো ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সময় এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে আর কোনো টাকা উত্তোলন করা যাবে না। ১৩ অক্টোবর বিএফআইইউর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

যে ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়েছে

এহসান গ্রুপ, এসহান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স, এহসান এমসিএস লিমিটেড, এহসান মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ, নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স নুর জাহান ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স আল্লারদান বস্ত্রালয়, মেসার্স পিরোজপুর বস্ত্রালয়, কিউকম লিমিটেড ও জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশার খান শামীম এহসানসহ হিসাব স্থগিত করা তালিকায় রয়েছে মাহমুদুল হাসান, সালমা হাসান, সুমনা হক রানী, সাইফুল হক এবং কিউকমের মালিক রিপন মিয়ার নাম।

একই দিন পুলিশের পরিদর্শক সোহেল রানাসহ আরও ১৯ জনের হিসাব তলব করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীও পাঠাতে হবে।

হিসাব তলব করা ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে

ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ পুলিশের পরিদর্শক গ্রেফতার হওয়া শেখ সোহেল রানা, সনিয়া মেহজাবিন, ই-অরেঞ্জের মালিক বিথী আক্তার, এমএম ইস্পাহানির এক্সিকিউটিভ মোমেনা আক্তার মাসুমা, গ্রুপ ১৯৭১ এর পরিচালক নাজমা সুলতানা পিয়া, মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ, অনিরুদ্ধ রাজবংশী, প্রতিমা রাজবংশী, শুভাশিস রাজবংশী, জোছনা রাজবংশী, মো. আতিকুল ইসলাম, লিপি ইসলাম, মোর্শেদা আক্তার রতনা, নিলুফা বেগম, মো. মিজানুর রহমান, রেহেনা আক্তার, মোসা. জিনাত ফাতেমা, মো. আসানুল আজিম এবং মো. নাসিম।

এসআই/এমএইচএস