উৎসে কর কর্তনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ই-টিডিএস সিস্টেম ব্যবহারে কর অঞ্চলগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) এনবিআরের সিস্টেম ম্যানেজার এ কে এম জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে উৎসে কর কর্তন, সরকারি কোষাগারে জমাদান ও রিপোর্টিংয়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ই-টিডিএস সিস্টেম ইতোমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি উৎসে কর কর্তনে আয়কর বিভাগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নসহ আর্থিক শৃঙ্খলা জোরদারকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ এ সিস্টেমের মাধ্যমে উৎসে কর কর্তনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন ও অর্থ বিভাগের এ চালান সিস্টেম ব্যবহার করে কমার্শিয়াল ব্যাংকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) এবং অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদেয় অর্থ পরিশোধ করতে পারবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মাসিক উৎসে করের প্রতিবেদন ও আয়কর আইনের ৭৫ এ ধারায় রিটার্ন দাখিল করা যাবে। ফলে উৎসে কর কর্তন কার্যক্রম সকল পর্যায়ে সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ অবস্থায় ই-টিডিএস সিস্টেমের সফল বাস্তবায়নের লক্ষে কর অঞ্চলসমূহের দাফতরিক ই-মেইলে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। এ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রতিটি কর অঞ্চল, রেঞ্জ ও সার্কেলে লগইন করে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

আয়কর আইনে ৩৪টি ধারায় উৎসে কর কর্তন এবং ১৯টি ধারায় উৎসে কর সংগ্রহ করার বিধান রয়েছে। এই ৫৩টি ধারার অধীনে উৎসে কর কর্তন ও সংগ্রহ ম্যানুয়ালি মনিটরিং করা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। উৎসে কর কর্তন করে প্রত্যেকটি উৎসে কর কর্তন কর্তৃপক্ষকে ২টি অর্ধ বার্ষিক রিটার্ন এবং ২৪টি মাসিক বিবরণীসহ সর্বমোট ২৬টি রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। এছাড়া নির্ধারিত হারে কর কর্তন, সঠিক কোডে ও যথা সময়ে উৎসে কর জমাদান উৎসে কর কর্তন কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ।

উদ্ভাবিত ই-টিডিএস অটোমেশন ব্যবস্থা কার্যকরের পর আয়কর প্রশাসনের রাজস্বের প্রধান খাত উৎসে কর ব্যবস্থাপনায় আর্থিক শৃঙ্খলা জোরদারকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি কমবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। এ সিস্টেমে একজন উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ লগইন করে তার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন ও এ চালান সিস্টেমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কর পরিশোধ করতে পারবেন। ফলে আয়কর কর্তৃপক্ষ সহজেই মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

২০২০ সালের মে মাসে ই-টিডিএস সিস্টেমের কাজ শুরু হয়।  গত ১ ডিসেম্বর ই-টিডিএস সিস্টেমের টেস্ট রান কার্যক্রম ও ই-টিডিএস ল্যাব উদ্বোধন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিট ও কর অঞ্চল -১, ২ ও ৬ তে ই-টিডিএস সিস্টেম পাইলটিং করা হয়।

আরএম/এসকেডি