চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফায়জুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের অনলাইন ইনচার্জ খাজা মঈন উদ্দিন কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।
মো. মকবুল হোসেন বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। জনসাধারণের মধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে স্বচ্ছ ও পরিপূর্ণ ধারণা তুলে ধরে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রচার প্রয়োজন।
নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে পারলে দেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পরিপূর্ণ সুফল ভোগ করতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়া দরকার। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও পত্রিকায় কলামের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত ও শিক্ষিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব আরো বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে সামাজিক বিভিন্ন সূচকে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের সামনে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে নিজেদের ওপরের সারিতে স্থান করে নেওয়ার। এ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ গড়া ও বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত এবং সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদেরকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে সরকারের মূল বার্তাগুলো হৃদয়ে ধারণ করে তা জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে।
এসএইচআর/জেডএস