আখ চাষিদের প্রশিক্ষণে পাইলট প্রকল্প
আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ দিতে চলতি বছর কুষ্টিয়া সুগার মিলে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
এ উদ্যোগ সফল হলে দেশে অধিক চিনি আহরণযোগ্য উন্নতজাতের আখ চাষ বাড়বে। এতে একদিকে যেমন চালু চিনিকলগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, অন্যদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনিকলগুলো আবারও চালু করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৭ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (বিএটিবিসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের ‘আখ চাষের টেকসই মডেল’ শীর্ষক কর্মশালায় শিল্প সচিব এ কথা বলেন।
আখের টেকসই জাত উদ্ভাবন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহযোগিতায় চাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে আখের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে শিল্প সচিব সাধুবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া তিনি সংশ্লিষ্টদের স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও একাগ্রতার প্রদর্শনপূর্বক সুগারমিলগুলোর ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
কীভাবে আখের যথাযথ ফলন নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় আলোচনা হয়। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন যৌথভাবে চিনি শিল্পের উন্নয়নে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করে একটি টেকসই মডেল নির্ধারণ করবে, যা পরবর্তীতে প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুগার রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের পরিচালক আশরাফ আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ, হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি আজিজুর রহমান এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/আইএসএইচ