ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে ই-রিটার্ন। ঘরে বসে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে গত ১০ অক্টোবর ই-রিটার্নের ব্যবস্থা চালু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

দেড় মাসে এরইমধ্যে ৬৭ হাজারের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি করদাতা অনলাইন রিটার্ন দাাখিলও করেছেন। 

কর অফিসের আসা-যাওয়ার বাড়তি ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এনবিআর শুরু থেকেই ই-রিটার্ন সিস্টেমে আয়কর বিবরণী দাখিলে জোড় দিচ্ছে। এনবিআরের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কোনো করদাতা রেজিস্ট্রেশন করে রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। 

এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এরইমধ্যে ই-রিটার্ন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ২৬ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি করদাতা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ৩০ হাজারের বেশি করদাতা অনলাইন রিটার্ন দাাখিল করেছেন। করদাতারা প্রতি মুহূর্তে সিস্টেমে প্রবেশ করছেন। 

যেভাবে নিবন্ধন করবেন 

ই-রিটার্ন দিতে চাইলে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন অপশনে গিয়ে প্রথমে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দেবেন। এরপর নিজের নামে নিবন্ধিত মুঠোফোন নম্বর দেবেন। পরে ক্যাপচা লিখে সত্যতা যাচাই করবেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন নম্বর, মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় নিজের জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এভাবে হয়ে যাবে ই-রিটার্ন নিবন্ধন।

যেভাবে পেমেন্ট করে ই-রিটার্ন দেবেন 

যাদের ই-টিআইএন আছে, তাদের রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। যাদের করের পরিমাণ বেশি কিংবা অগ্রিম আয়কর দিয়েছেন, তারা আপাতত ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া বাকিরা টিআইএন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সিস্টেমে ঢুকে কয়েকটি ক্লিকেই রিটার্ন দিতে পারবেন। সিস্টেম থেকেই জিজ্ঞাসা করা হবে, করযোগ্য আয় আছে কি না। এ ছাড়া বাড়ি-গাড়ি আছে কি না, কিংবা ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ আছে কি না। এসবের উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে এনবিআরের ওই সিস্টেমই আপনার রিটার্ন তৈরি করে দেখাবে। আপনি শুধু তা চেক করে সাবমিট করবেন।

যাদের করের পরিমাণ কম ১০-২০ হাজার টাকা; তারা বিকাশে কর দিতে পারবেন। এনবিআরের হিসাবে এমন করদাতার সংখ্যা ১০-১৫ লাখ, তারা অনলাইনে ই-রিটার্ন দেওয়ার সময় বিকাশের মাধ্যমে করের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। 

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ই-রিটার্ন সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয়। সংস্থাটির একটি দল ১১ মাস ধরে কাজ করার পর গত অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে সিস্টেমটি চালু করে। এখন চলছে পর্যবেক্ষণ।

আরএম/আরএইচ