আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় আজ শেষ হচ্ছে। তাই জরিমানা এড়াতে ই-আইটিএনধারী করদাতাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিটার্ন দাখিল করার আহ্বান জানিয়েছেন কর বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

করোনা মহামারি বিবেচনায় চলতি বছর আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর অঞ্চলে জোন ভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্য সেবা বুথ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশের ৭০ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শেষদিনে আয়কর অফিসেও করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 

তবে নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হলে আবেদন সাপেক্ষে করদাতারা চাইলেই সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন।

করদাতা রিটার্ন জমা দেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। যদিও আবেদন করে সময় পেলেও বিলম্ব সুদ দিতে হবে, জরিমানা দিতে হবে না।

আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা, করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ কিংবা করের টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ করতে পারবেন। কয়েক বছর আগেও প্রতিবার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হতো। কিন্তু ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত বছর করোনা মহামারির কারণে সময় একমাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

আরএম/এমএইচএস