এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টইউগ শ্যাফার। সফরকালীন সময়ে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিস।

বিশ্ব ব্যাংক জানায়, হার্টইউগ শ্যাফার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। সাম্প্রতিক কপ-২৬ সভায় প্রধানমন্ত্রী যে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাও উল্লেখ করেন শ্যাফার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং অর্থনীতির ধারাবাহিকতা লক্ষণীয়। কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপগুলো কোভিডকে প্রতিহত করে বর্তমানে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ  বিশ্ব ব্যাংক। এ জন্য সরকারি, বেসরকারি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে হবে। আর এর ফলে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার জন্য সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে।

বিশ্ব ব্যাংক আরও জানায়, শ্যাফার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সংস্থাটি জানায়, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশের জন্য তার নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের প্রস্তুতি শুরু করছে। যা ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে সহায়তার নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেটা সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের বিস্তৃত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী পরামর্শ প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শ্যাফার সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার ও বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে টেকসই উপায়ে এগুলোকে সমর্থন করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

শ্যাফার আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অনুপ্রেরণামূলক উন্নয়ন সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। যেহেতু দেশটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য কাজ করছে, সে জন্য বিশ্ব ব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিটি পদক্ষেপে থাকবে। যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও উন্নয়নমূলক ও অন্তর্ভুক্তমূলক হবে।

এসআর/এসকেডি