পুঁজিবাজারে প্রশংসা করার অনেক কিছু আছে। এগুলো দেশের বাইরে তুলে ধরছি। তাই আমি আমাদের পুঁজিবাজারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছি বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে বন্ড ও সুকুক বন্ড নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ও সিএমজেএফ আয়োজিত কর্মশালায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফে-এর সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। প্রশিক্ষণ শেষে সকল শিক্ষার্থী সনদ তুলে দেন বিএসইসির কমিশনার।

অধ্যাপক সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে ভালো-মন্দ সকল কিছু তুলে ধরে গণমাধ্যম। আমাদের পুঁজিবাজারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, আপনারও দেশের বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন। কারণ,  বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রশংসার মতো অনেক কিছু আছে। প্রশংসা করা যায় না, এমন কোনো বিষয় খুব বেশি দেখি না। আমরা প্রশংসার দিকগুলো নিয়ে ধাবিত হচ্ছি। আমি আমাদের পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক ভবিষ্যৎ দেখছি।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে পুঁজিবাজারটাকে ভালো রাখতে চাই। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

রোডশোর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে বিদেশে তুলে ধরার ইঙ্গিত দিয়ে কমিশনার বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের ভালো দিকগুলো বিদেশে প্রচার করছি। এইতো আজ সকালেও আইএমএফের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের পুঁজিবাজারকে একটি সুন্দর পুঁজিবাজার বলে মনে করেন। তারা আমাদের পুঁজিবাজারে প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের আগ্রহ টাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

কর্মশালায় প্রশিক্ষকরা বন্ডের তুলনায় সুকুক বন্ডের বিনিয়োগ বেশি নিরাপদ বলে জানান। বন্ডের তুলনায় সুকুক বন্ডে ঝুঁকি কিংবা ক্ষতি অনেক কম। সুতরাং, এখানে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত কম হবেন ইনভেস্টররা।

এমআই/এইচকে