পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৪ কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

বৃহস্পতিবার কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা জানাতে চিঠিতে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।  

বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিনহাজ বিন সেলিমের সই করা এ চিঠির কপি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডিকেও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ৯ ধারার আই উপ-ধারা অনুযায়ী মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে পারবে না। 

আইন পরিপালনে কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। এছাড়াও রিপিট আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মূলধন বাড়াতে পারবে।

কিছু কোম্পানিকে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু কোম্পানিকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পারবে না, সেসব কোম্পানিকে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে স্বল্প মূলধনী বোর্ডে (এসএমই)। 

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির সদস্য অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিস্টেড যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে, তাদের মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।   

কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুডস করপোরেশন, এইচআর টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, আজিজ পাইপ, বাংলাদেশ ল্যাম্প, মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ, বাংলাদেশ অটোকার্স, রেনউইক যগেশ্বর, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, কে অ্যান্ড কিউ, রংপুর ফাউন্ড্রি, অ্যাপেক্স ফুডস, বঙ্গজ, জেমেনি সি ফুডস, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, জিলবাংলা সুগার মিলস, অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং (প্রাণ), শ্যামপুর সুগার মিলস, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেস্ক মিল্ক, ফাইন ফুডস, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, লিন্ডে বাংলাদেশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, জুট স্পিনার্স, নর্দার্ন জুট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্টাইল ক্রাফট, রহিম টেক্সটাইল মিলস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং, এম্বি ফার্মাসিটিউক্যালস, রেকিট বেনকিজার, ফার্মা এইডস, কোহিনূর কেমিক্যালস, ওয়াটা কেমিক্যালস, লিব্রা ইনফিউশন, ওরিয়ন ইন্ডাস্ট্রিজ, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেলস ডিভাইস, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারস মিলস, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, বাংলাদেশ মনুসপুল পেপার, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড।

এছাড়াও রয়েছে, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, অ্যাপেক্স ট্যানারি, বাটা সু, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, শমতা লেদার কমপ্লেক্স, লিগেসি ফুটওয়্যার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট, জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, উসমানিয়া গ্লাস, সাভার রিফেক্টরিজ, দেশ গার্মেন্টস এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

এমআই/আরএইচ