এসএমই আইন প্রণয়নের দাবি ডিসিসিআই’র
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ডিসিসিআই’র একটি টিম শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন দাবির বিষয়টি উপস্থাপন করে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ ব্যবসায়ী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। তবে কটেজ, অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তুলনায় মাঝারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও কর্মক্ষম জনশক্তির সীমা অনেক বেশি থাকায়, প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতিগত সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কটেজ, অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা মাঝারি উদ্যোক্তাদের তুলনায় পিছিয়ে থাকেন। এ অবস্থা উত্তরণে তিনি আসন্ন শিল্পনীতিতে সিএমএসএমইদের সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারণ এবং একটি ‘এসএমই আইন’ প্রণয়ন করার প্রস্তাব করেন।
এছাড়াও সিএমএসএমই খাতে সরকারঘোষিত সব ধরনের নীতিগত সহায়তা বাস্তবায়ন করতে, দেশের সব সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের খাতভিত্তিক একটি ডাটাবেজ তৈরির জন্য একটি বিশেষায়িত প্রকল্প নেওয়ার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়াধীন রাষ্ট্রায়াত্ত বেশ কিছু শিল্প-কারখানা রয়েছে, যেগুলোকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার বেশ বড় এবং আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সারাদেশে শিল্পায়নকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট ক্লাস্টারগুলোতে সার্বিক সহায়তার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, দেশের কৃষিনির্ভর অঞ্চল যেমন- যশোর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটে কৃষি-প্রক্রিয়াজাত শিল্পায়ন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশেষায়িত কৃষি নির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। ডিসিসিআই সভাপতি এলডিসি উত্তরণের পর ২০২৪ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে ইউরোপের দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধা পেতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শ্রম, মানবাধিকার, সুশাসন ও পরিবেশভিত্তিক ২৭টি কনভেনশন বাস্তবায়নে আসন্ন শিল্পনীতিতে একটি রোডম্যাপ আন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানাই।
এ সময় উপস্থিত শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, আসন্ন শিল্পনীতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারঘোষিত ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের বেসরকারিখাতের অবদান নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।
এ সময় ডিসিসিআই’র টিমে সংগঠনটির সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, মনোয়ার হোসেন, পরিচালক আরমান হক, আশরাফ আহমেদ, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, গোলাম জিলানী, হোসেন এ সিকদার, খাইরুল মজিদ মাহমুদ, এম এ রশিদ শাহ সম্রাট, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, মো. সাহিদ হোসেন, মো. জিয়া উদ্দিন, নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস এবং ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/জেডএস