চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাত মিলিয়ে রাজস্বে ৩.৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ২২৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রায় এনবিআর আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ লাখ ৬ হাজার ২৬১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

অর্থ্যাৎ ৪ হাজার ১৯২ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার ৩.৯৫ শতাংশ। যদিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে আছে ৩০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর’র চূড়ান্ত হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম করোনাকালীন সময়ে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের এমন প্রবৃদ্ধিকে আশাব্যঞ্জক বলে দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে স্বাভাবিক পরিবেশ ছিল। এ বছর করোনা মহামারির মধ্যেও এমন প্রবৃদ্ধি কম অর্জন নয়। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার পথে হাঁটছে এনবিআর।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এনবিআর ৩.৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ভ্যাট খাত থেকে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ৫২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আর শতাংশ হিসাবে সাফল্য দেখিয়েছে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাতে। এই খাতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬.৭৭ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই খাতে আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। 

অন্যদিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর খাতে ৩৪ হাজার ২৬৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আদায় হয়েছিল ৩২ হাজার ৬৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৮০ শতাংশ।

২০২০ সালের শুধু ডিসেম্বর মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে যথাক্রমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮ হাজার ২৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা, ৯ হাজার ৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার ৯২৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ ডিসেম্বর মাসে মোট ২৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৮৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের ডিসেম্বরে তিন সেক্টরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৮৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়।

 

আরএম/জেডএস