পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সপ্তম দিন আর বছরের প্রথম ছুটির দিন আজ। তাই মেলা প্রাঙ্গণে নেমেছে দর্শনার্থীর ঢল। তবে আগারগাঁওয়ের তুলনায় শুক্রবার বা ছুটির দিন হওয়ার পরও মেলায় বিক্রি বেশ কম। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়ার আশায় আছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, লাইন ধরে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকছেন। ছুটির দিন হওয়ায় এদিন মেলায় অন্যদিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মানুষ এসেছে। ঢাকা থেকে যারা এসেছেন, তাদের কুড়িল বাস স্ট্যান্ডে লম্বা লাইন ধরতে হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও আজ মেলায় প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন।

ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে সপরিবারে এসেছেন মোমেনা বেগম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছুটির দিন থাকায় পরিবার নিয়ে এসেছি। ঢাকায় মেলা হলে দ্রুত চলে যেতে পারতাম। ঢাকার বাইরে হওয়ায় পথের দূরত্ব বেশি। মেলা থেকে জুতা ও ব্যাগ কিনলাম। তবে বাইরের চেয়ে এখানে দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।

ওয়ালটন এক্সপেরিয়েন্স জোনের কো-অর্ডিনেটর মোনেম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত ছয় দিনের তুলনায় আজ আমাদের স্টলে লোকসমাগম অনেক বেশি। বলা চলে, বিগত ছয় দিনে যত মানুষ এসেছে, আজ তার চেয়ে বেশি মানুষ এসেছে। তবে বিক্রি কম।

মেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও ক্রেতার সংখ্যা কম জানিয়ে গাজী গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (কর্পোরেট সেলস) এ বি এম এনায়েত উল্লাহ সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ঢাকার মতোই জনসমাগম হয়েছে। তবে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। বেশিরভাগই ছবি তুলতে এসেছেন এখানে।

তিনি বলেন, মেলার প্রথম শুক্রবার হলেও ঢাকা থেকে লোকজন কম এসেছে। এখানে স্থানীয়দের সংখ্যাই বেশি। তারা মূলত ঘুরতে এসেছেন। আশা করছি ধীরে ধীরে মেলায় ঢাকা থেকে লোক আসার সংখ্যার পাশাপাশি বিক্রিও বাড়বে।

তবে মেলায় আসা-যাওয়ার পথে তীব্র যানজটে নাকাল দর্শনার্থীরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টিকিট কাটার বিড়ম্বনা। মানুষের চাপ সামলাতে না পেরে নির্দিষ্ট টিকিট কাউন্টারে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সেখানে ছিলেন না বিআরটিসির লাইন ম্যান ও টিকিট বিক্রেতারা। ফলে টিকিট না কেটে অনেকেই মাঝ রাস্তা থেকে ঝুঁকি নিয়ে বাসে উঠেছেন।

ঢাকার আজিমপুর থেকে প্রথমবারের মতো মেলায় এসেছেন চাকরিজীবী এআরএম সাদাত। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর করোনার কারণে বাণিজ্য মেলা হয়নি। তাই এবার ঢাকার বাইরে হলেও মেলায় এসেছি। শুক্রবার ছুটি, তাই ঘুরতে আসা। তবে মেলায় এসে আমি হতাশ। 

তিনি বলেন, বিকেল বেলায় যানজট ঠেলে মেলায় আসতে হয়েছে। আবার যাওয়ার সময়ও বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় টিকিট কাটা নিয়ে বিশৃঙ্খলা। ইচ্ছে ছিল পরেরবার পুরো পরিবার নিয়ে আসব। তবে এই ভোগান্তি দেখে আর আসার ইচ্ছে নেই। মেলায় জিনিসপত্রের দামও বেশি। সেটাও না আসার কারণ হতে পারে।

এএজে/আইএসএইচ