দেশের চাহিদা মেটাতে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এ লক্ষ্যে পৃথক দুটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দুটির মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানিতে ৮ হাজার ৪১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষ অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২২ সালের (জানুয়ারি-জুন) সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মেয়াদি চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশনকৃত বিভিন্ন দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত, পেট্রোচায়না বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া ও ইউনিপেক চীন) থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ৯৮ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৮ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৪১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা) ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে ৯০ হাজার টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পার্বতীপুর ডিপোতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে এ ডিজেল সরবরাহ করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১ম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৭৯৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৮ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৮৯ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭ টাকা এবং ভারত থেকে ১ হাজার ২০৫ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ২২১ টাকা ব্যয় করা হবে।

এসআর/এসকেডি