বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য একযোগে কাজ করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

এ লক্ষ্যে রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিজিএমইএর গুলশান অফিসে পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আইএলও এবং বিজিএমইএর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান, আইএলও এর পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা জর্জ ফলার, বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং আইএলও বাংলাদেশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ৫০ বা ততোধিক কর্মচারীসহ সব সংস্থার জন্য শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের পক্ষ থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা কমিটিগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করা।

বিজিএমইএ-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭৫টি পোশাক কারখানার ৭০০টি নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদেরকে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি শনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন, ভবন নিরাপত্তা সংস্কৃতি, অগ্নি দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং করোনাভাইরাসের নির্দেশিকা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিরাপত্তা কমিটিগুলোর প্রশিক্ষিত সদস্যরা পরে তাদের নিজ নিজ কারখানায় কর্মীদের মধ্যে একই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জর্জ ফলার বলেন, নিরাপত্তা কমিটিগুলো কারখানায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ তৈরি এবং তা বজায় রাখার জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কর্মীদের একত্রিত করে। তিনি আরও বলেন, এই কমিটিগুলো সঠিকভাবে দক্ষতাসম্পন্ন হলে এবং কর্মক্ষেত্রে অনেক দুর্ঘটনা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের শ্রমিকদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তাই নিরাপত্তা কমিটিগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য আমরা আইএলও এর সঙ্গে এক হয়েছি। আমাদের যৌথ উদ্যোগ শিল্পকে মহামারি সৃষ্ট নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং অন্যান্য পেশাগত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

এমআই/জেডএস