দেশের জুয়েলারি শিল্পকে এগিয়ে নিতে একটি ‘গোল্ড ব্যাংক’ চান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালান ও পাচার রোধে গোল্ড একচেঞ্জ পলিসির দাবি জানিয়েছেন তারা। 

মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প উদ্যোক্তা ও দেশের শীর্ষ  শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগারওয়ালা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও গোল্ড ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা গোল্ড ব্যাংক দরকার। দারুন একটা আইকনিক চিন্তা থেকে এটা এসেছে। 

তিনি বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে। এ মুহুর্তে আমরা বসতে পারছি না। কিন্তু কাগজপত্র আমরা যেকোনোভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারি। তারপরে যখন সময় হবে, সুদিন ফিরবে সবাই সবার সামনে বসতে পারব, তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসব। বললেই তিনি রাজি হয়ে যাবেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমাদের জুয়েলারী শিল্প দিয়ে গার্মেন্টস শিল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারব। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে বাংলাদেশে গোল্ড একচেঞ্জ দরকার, গোল্ড ব্যাংক দরকার। আমি নিশ্চিত বাণিজ্যমন্ত্রীসহ জুয়েলার্স মালিকরা যখন বলবেন, তখন প্রধানমন্ত্রী এক সেকেন্ডও দেরি করবেন না। সবকিছুর ব্যাংক রয়েছে। গোল্ড ব্যাংক কেন হবে না? গোল্ড একচেঞ্জ কেন হবে না?  

বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো বাজুসের মাধ্যমে একটি গোল্ড ব্যাংক বা গোল্ড একচেঞ্জ পলিসি করা হোক। 

এসআই/আরএইচ