সারা জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে লালিত স্বপ্ন পূরণে এক খণ্ড নিষ্কণ্টক জমি আজ যেন সোনার হরিণ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের বিস্তৃতি বাড়ছে, কিন্তু মানুষের আবাসনের চাহিদা পূরণের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। আবার মানুষের বিশ্বাসকে অবিশ্বাসে পরিণত করছে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। ১৭ কোটি মানুষের বাস আমাদের ছোট্ট বাংলাদেশে । আবার রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে সব কিছু কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।

কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শুধু জমি ক্রয় করলেই হবে না। সেই জমি হতে হবে স্মার্ট সিটিতে। আর দেশের ‘প্রথম স্মার্ট সিটি’ হতে যাচ্ছে ঢাকার সন্নিকটে ‘পূর্বাচল আমেরিকান সিটি’, যেখানে স্বপ্নের আগামী ছুঁয়ে যায় দিগন্ত ঘেঁষে। এ প্রকল্প এমনভাবে পরিকল্পিত, যা একজন সচেতন ও আধুনিক চিন্তা-চেতনা ধারণ করা রুচিশীল নাগরিক স্বপ্নঘেরা একটি নান্দনিক শহর কল্পনা করেন। আধুনিক শহরের সকল সৌন্দর্য আর চাহিদার অপূর্ব মিলনমেলার সংমিশ্রণ থাকছে এ প্রকল্পে।

চলতি শতাব্দীতে সারা পৃথিবী একটি প্রশ্নবাণে জর্জরিত; তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করে কী করে টেকসই আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা যেতে পারে। স্মার্ট সিটির ধারণাটাও ঠিক তাই। একটি স্মার্ট সিটি সর্ব প্রথম নিশ্চিত করে যে, সে নিজে পরিবেশের প্রতি হুমকি নয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, সোলার পাওয়ার ব্যবহার, কার্বন নির্গমন করে এমন জ্বালানির প্রতি অনাগ্রহ এবং সর্বোচ্চ ইনফরমেশন টেকনোলজির ব্যবহার নিশ্চিত করা।

এসবের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্মার্ট সিটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। প্রকল্পে ইতোমধ্যে সোলার স্ট্রিট ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, সর্বোচ্চ অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছ বেঞ্জামিন ফাইকাসসহ আরও অনেক দেশি-বিদেশি গাছের সমন্বয়ে সবুজায়নের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পই যেন এক নানাবিধ ফলের বাগান। এত বড় ফলের বাগান বাংলাদেশের আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে নিরাপদ বাসস্থান মানুষের যুগ যুগান্তরের চাওয়া। সকলেই চায় নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যানজট, শব্দদূষণ, গাড়ির কালো ধোঁয়ার ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত স্নিগ্ধ, নিরিবিলি, সুস্থ স্বাভাবিক শান্তির নীড়। ‘পূর্বাচল আমেরিকান সিটি’ একটি নাম, একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। আর এই বিশ্বাস, আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতিকে পুঁজি করেই এ প্রকল্পের যাত্রা। এ প্রকল্প বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, যা গ্রাহকদের চাহিদাকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছে।

প্রকল্পে রয়েছে সুদৃশ্য পার্ক ও সুবিশাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড, প্রশস্ত রাস্তা বিশেষ করে ১৬৪ ফুট প্রশস্ত প্রধান সড়ক, ১২ ফুট গ্রিন জোন, ১০ ফুট ওয়াকওয়ে। প্রকল্পে ১৫০ ফুট প্রশস্ত লেক ও লেক সাইট পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রকল্প হিসেবে থাকছে আলাদা আলাদা এন্ট্রি ও এক্সিটের রাস্তা।

গ্রিন এনার্জি কনসেপ্টকে সামনে রেখে পুরো প্রজেক্ট জুড়ে রয়েছে ইলেকট্রিক কার পার্কিংয়ের সুবিধা। প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে রয়েছে আধুনিক তারবিহীন সিসি ক্যামেরা প্রযুক্তি, থাকছে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা বাহিনী, ডগ স্কোয়াড ও থ্রি ডিজিট ইমার্জেন্সি কল সেন্টার। দেশের প্রথম রিকশা-ফ্রি সিটি হবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। এছাড়াও স্পেশাল সেন্সরসহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রকল্পজুড়েই থাকছে ‘সোলার হোম সলিউশন প্রযুক্তি’।

প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী থাকবে আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বোর্ডিং স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ইংলিশ ভার্সন স্কুল, শপিং মল, আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার। ইতোমধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে।

একটি আবাসন প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার প্রয়াসে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে থাকছে- এমিউজমেন্ট পার্ক, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইনডোর স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস— যেখানে থাকবে রুম ফ্যাসিলিটি, সেমিনার অ্যান্ড সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি সুবিধা, পাঁচ তারকা হোটেল, আউটডোর প্লে গ্রাউন্ড, হেলিপোর্ট, নাইন হোল গলফ কোর্সসহ নানা সুবিধা।

বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট সিটিতে থাকছে কেন্দ্রীয় মসজিদ ও কেন্দ্রীয় কবরস্থান। এতে থাকবে সেক্টর ভিত্তিক মসজিদ ও খেলার মাঠ। ইতোমধ্যে ২০ বিঘা জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্রিকেট মাঠ। চারটি ব্লক পর পর একটি করে মিনি সুপার মার্কেট থাকবে। যেখানে থাকবে- গ্রোসারি শপস, ফার্মেসি, বারবার শপস, বিউটি পার্লার, লন্ড্রি, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি, গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট ও নিউ টাউন প্রজেক্টের নিকটবর্তী হওয়ায় সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। থাকবে মেট্রো রেলের সংযোগ। এখানে থাকবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি ক্লাব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি আধুনিক আবাসন প্রকল্পে  এই প্রথম একইসঙ্গে ডুপ্লেক্স জোন ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ কনডোমিনিয়াম যা উন্নত বিশ্বের আদলে তৈরি করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা গ্রুপের হেড কোয়ার্টার হবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে। 

এসব কিছুর  সমন্বয়েই গড়ে উঠছে আজকের অত্যাধুনিক, পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন নগরী ‘পূর্বাচল আমেরিকান সিটি’ –যা নিশ্চিত করছে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সাধ ও সাধ্যের মধ্যে এক খণ্ড নিষ্কণ্টক জমি সংগ্রহের সুব্যবস্থা।

আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন স্মার্ট সিটির একজন গর্বিত অংশীদার হবেন নাকি অনিশ্চয়তার দোলায় নিজেকে সমর্পণ করবেন। দেশের একমাত্র ‘স্মার্ট সিটি’ হিসেবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে তাই আপনি আস্থা রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। একবার ঘুরে আসুন, দেখুন নিজের চোখে। কল্পনাকেও হার মানাবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। 

লেখক : মো. কামরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ, ইউএস-বাংলা গ্রুপ