জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, করনেট (করজাল) বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় অন্তরায় কর সংস্কৃতি। কর সংস্কৃতির অভাব এমনই প্রকট সেখানে করনেট বাড়ানো কঠিন। 

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ  প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) ও বাংলাদেশে সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিক হিসেবে কর প্রদানের সংস্কৃতিই আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। নানাভাবে মোটিভেশনাল কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও কর দেওয়ার কালচার তৈরি করতে পারিনি। করদাতাদের সবসময়ই প্রশ্ন- কেন ট্যাক্স দেবো ও ট্যাক্স দিয়ে কি পাই? আমরা যদি এই প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে না পারি, তাহলে জনগণ ট্যাক্স দেবে না।

তিনি বলেন, আমাদের বোঝাতে হবে ট্যাক্স দিলে কী হয়। এখন আমরা মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস হাইওয়ে ও পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উদাহরণ দিতে পারি। এতকিছুর পরও কর দেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়নি। এমনকি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরাও কর মওকুফের জন্য অনবরত চাপ দিতে থাকে। তারা বলে এক সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ট্যাক্স দিয়ে কী লাভ? আমি বলি এটাই কর সংস্কৃতি। আমাদের এক ধরনের মাইন্ড সেটআপ হয়ে গেছে। ট্যাক্স দেবো না। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের প্রবণতার কথা উল্লেখ করে মুনিম বলেন, বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের প্রবণতা আছে। এটা সহজে দূর করা যাবে না। এটা দূর করতে আমাদের বন্ড অটোমেশন আপডেট করতে হবে। যখন আপডেট হবে, তখন অপব্যবহার দূর হবে। যখন আমরা হিসাব রাখতে পারব, তখন অপব্যবহার কমানো সম্ভব হবে। বন্ড সুবিধা অপব্যবহার যতটুকু রাজস্ব খাতে প্রভাব ফেলে তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের পক্ষ থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদসহ প্রতিষ্ঠান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/এসকেডি