আইনিসীমার অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ায় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার কবলে পড়ে বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল)। এটি মওকুফের আবেদন করলে তা নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় ব্যাংকটির জরিমানা মওকুফের এ আবেদন করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে সায় দেয়নি। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বোর্ড মিটিংয়ে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্যাংক একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। তাই কেউ যদি ভুল করে তাহলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। যেন পরে এ ধরনের ভুল কেউ না করে। এ কারণে ইস্টার্ন ব্যাংকের জরিমানার আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

এর আগে সীমার অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ায় ইস্টার্ন ব্যাংককে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জরিমানার ওই অর্থ ১৪ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। তা না হলে ব্যাংকটির হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। তারা জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করে তা মওকুফের আবেদন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড
সভায় তা বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, ইবিএল তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইবিএল ফাইন্যান্স (এইচকে) লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজকে সীমা অতিক্রম করে ঋণ দিয়েছে। একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম করে ঋণ দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছিল, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(খ) ধারা লঙ্ঘন ও এই ঋণ অনুমোদনে একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রমের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ব্যাংকটি গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ও গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাখ্যা দিলেও তা গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(খ) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে দেওয়া সব ঋণসুবিধার পরিমাণ ওই ব্যাংকের রক্ষিত মূলধনের শতকরা ২৫ শতাংশের বেশি হবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ইবিএল দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সীমার অতিরিক্ত ঋণ দেয়, তার মধ্যে ইবিএল ফাইন্যান্স (এইচকে) লিমিটেড ঋণপত্রে উপদেশ, রপ্তানি নথিপত্র ব্যবস্থাপনা ও রপ্তানি খাতে অর্থায়ন করে থাকে। আর ইবিএল সিকিউরিটিজ শেয়ারবাজারে লেনদেনের পাশাপাশি গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকে।

এসআই/জেডএস