ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের এই যুগে যেহেতু সাইবার অপরাধ বাড়ছে, তাই আমাদের অবশ্যই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে। হুমকির মাত্রা বেশি হওয়ায়, আমরা মনে করি, এই ঝুঁকি মোকাবিলায় শক্তিশালী যৌথ প্রতিক্রিয়া এবং নলেজ শেয়ারিং অপরিহার্য। আমরা আশা করি, এই দুই দিনের সামিটের পর অংশগ্রহণকারীরা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবেন।

ব্যাংকারদের সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুত হতে ‘বিল্ডিং সাইবার রেজিলিয়েন্স ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে এ কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর. এফ. হোসেন।

রোববার (১২ জুন) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই সামিটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

এবিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সাইবার সংকট মোকাবিলায় ধারাবাহিক নীতিগত সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানাই। সিনিয়র ব্যাংকারদের একটি সংগঠন হিসেবে, এবিবি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একত্রিত এবং ব্যাংকিং পেশাজীবীদের মধ্যে এটি গ্রথিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ব্যাংকিং পেশাজীবীদের সাইবার নিরাপত্তার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ধরনের আরও উদ্যোগের পরিকল্পনা আছে এবিবি’র।

দুই দিনব্যাপী (১২ ও ১৩ জুন) এই সামিট চলবে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতের প্রথম সাইবার সিকিউরিটি সামিট এটি। দেশের ৫০টিরও বেশি ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ সামিটে অংশগ্রহণ করছেন বলে নিশ্চিত করেছে এবিবি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায়, এবিবি চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংক-এর এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন, এবিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান, এবিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং এবিবি’র সেক্রেটারি-জেনারেল ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও খন্দকার রাশেদ মাকসুদ উপস্থিত ছিলেন।

যেহেতু ব্যাংকগুলো আরও পেশাদার গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল সার্ভিস বেশি করে চালু করছে, তাই সমন্বিত সাইবার নিরাপত্তা দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এমডি অ্যান্ড সিইও, সিওও, সিটিও, সিআইও এবং সিআইএসও সহ ব্যাংকিং খাতের ২০০ জনের বেশি কর্মকর্তা সামিটে অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানায়।

এসআই/জেডএস