সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই কয়েকটি ব্যাংকে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নতুন নির্দেশনা দিয়ে‌ছে সরকার। এর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মে‌নে চলা ও মাস্ক পরিধান অন্যতম। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও উদাসীনতা উভয়ই দেখা যাচ্ছে।

বুধবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় কয়েকটি ব্যাংকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ কেউ মাস্ক পরে ব্যাংকে এসেছেন, তো আবার কেউ মাস্ক না পরেই ব্যাংকে বসে আছেন। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকের প্রবেশপথে মাস্ক না প‌রেই সিকিউরিটি গার্ডকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রধান দরজার প্রহরীরাও অনুসরণ করছেন না স্বাস্থ্যবিধি। দিচ্ছেন না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কয়েকটি কাউন্টারের সামনে লেগে আছে গ্রাহকের জট। বালাই নেই সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের। কোথাও কোথাও একসঙ্গে বসে গল্প করছেন গ্রাহকরা।

অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রবেশদ্বারে প্রহরীরা দাঁড়িয়ে আছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন তারা। তবে কোন ব্যাংকেই ৫০ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতির নিয়ম চালু হয়নি এখনও।

এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার নির্দেশিত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেছি আমরা। তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস প্রক্রিয়া চালু করেছি। এছাড়া ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা এলেই এ প্রক্রিয়া চালু হবে।

রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল কর্পোরেট শাখার ডিজিএম সারোয়ার হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সরকারি নির্দেশনা পালন শুরু করেছি। পঞ্চাশোর্ধ্ব কর্মকর্তাদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান কার্যালয়। এছাড়া একই সুযোগ পাচ্ছেন গর্ভবতী নারী কর্মকর্তারা। কাউন্টারগুলোতে যেখানে পাঁচজন কাজ করতেন, সেখানে তিন জন কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকে আশা আফতাব আহমেদ নামে এক জানান, ব্যবসার প্রয়োজনে লেনদেন করতে হয়। তাই ব্যাংকে এসেছি। এখানে যে ভিড়, তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা কঠিন। ব্যাংকে মাস্ক না পরে বসে থাকা এক গ্রাহকের কাছে জানতে চাইলে ওই গ্রাহক দ্রুত মাস্ক পরেন। তবে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এসআই/আরএইচ