দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর হঠাৎ টাকার বিপরীতে বাড়তে শুরু করেছে মার্কিন ডলারের দাম। রোববার (২২ আগস্ট) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ১০ পয়সায়। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য। এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ডলারের দর সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় উঠেছিল।

আমদানি বাড়ায় এর দায় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। অনেককে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। তবে খোলাবাজারে সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এতদিন বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন সরবরাহ বাড়াতে বিক্রি শুরু করেছে বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রোববার ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে ৮৫ টাকা ১০ পয়সা দরে ডলার লেনদেন করছে। মাসের শুরুতে গত ২ আগস্ট এ দর ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এ হিসাবে ২০ দিনের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে ৩০ পয়সা দর হারিয়েছে টাকা। আগে গত বছরের জুলাই থেকেই ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা স্থিতিশীল ছিল ডলার।

রোরবার বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের ৮৫ টাকা ২০ পয়সায় ডলার বিক্রি করেছে। কিনেছে ৮৪ টাকা ২০ পয়সায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ৮৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে আর কিনেছে ৮৪ টাকা ৬০ পয়সায়। জনতা ব্যাংক কিনেছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। বিক্রি করেছে ৮৭ টাকায়।

রোববার খোলাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ টাকা থেকে  ৮৮ টাকায়। তবে ডলারের দামে বাড়লেও নিম্নমুখী পাউন্ড  ইউরোর দাম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রোববার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা ৯৪ পয়সা। ইউরো ৯৯ টাকা ৫৫ পয়সা। মাসের শুরুতে যা ছিল পাউন্ড ছিল ১১৭ টাকা ৯৩ পয়সা, আর ইউরো ছিল ১০০ টাকা ৭০ পয়সা। 

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কেনায় রেকর্ড গড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কিনেছে। এর আগে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছরের আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ ডলার কেনার রেকর্ড।

এসআই/ওএফ